আইন অমান্য আন্দোলন কী?

অথবা, আইন অমান্য আন্দোলন কাকে বলে?

অথবা, আইন অমান্য আন্দোলন বলতে কী বুঝ?

উত্তর: ভূমিকা: ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ১৯২২ সালের অসহযোগ এবং ১৯২৪ সালের খিলাফত আন্দোলন ব্যর্থ হয়। ফলে ১৯৩০ সালে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়। আইন অমান্য আন্দোলন ভারতীয় মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে যে অভূতপূর্ব গণসমাবেশের সূচনা হয়। তা আইন অমান্য আন্দোলনের মাধ্যমে আরো বেগবান ও বিস্তৃতি লাভ করে

আইন অমান্য আন্দোলন : ১৯২৭-৩০ সালে ব্রিটিশ সরকার সাইমন কমিশন গঠন করে। যদিও এ মিশন ভারতবাসী প্রত্যাখ্যান করে। কংগ্রেস নেহেরু রিপোর্টের মাধ্যমে ও মুসলিম লীগ চৌদ্দ দফা দাবির মাধ্যমে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায় পৃথক পৃথকভাবে স্বায়ত্তশাসন ও সম্প্রদায়গত স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করে। যদিও কোনো দাবিই পূরণ হয়নি। এ কারণে ১৯২৯ সালে কংগ্রেসের লাহোরে অধিবেশনে কয়েকটি দাবি সংবলিত অসহযোগের ডাক দেয়। দাবিগুলো হলো-

প্রথমত, কেন্দ্রীয় প্রাদেশিক পরিষদের কংগ্রেস সদস্যদের পদত্যাগ।

দ্বিতীয়ত, ভারতের জন্য স্বাধীনতার প্রস্তাব।

তৃতীয়ত, আইন অমান্যের প্রস্তাব গৃহীত হয়। মহাত্মা গান্ধীকে এ আন্দোলন পরিচালনার নেতৃত্বে গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। তিনি উপরিউক্ত আন্দোলন অহিংস পন্থায় পরিচালনা করার সিন্ধান্ত গ্রহণ করেন।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, আইন অমান্য আন্দোলন যদিও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয। তবু ও এ আন্দোলনের গতিধারা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী ও গণমুখি করে তোলে। আইন অমান্য আন্দোলন ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে গতিশীল করে এবং বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সঞ্চার সৃষ্টি করে।