অথবা, সেন্ট টমাস একুইনাসের রাষ্ট্রতত্ত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
অথবা, সেন্ট টমাস একুইনাসের রাষ্ট্রতত্ত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে যা জান লিখ।
অথবা, সেন্ট টমাস একুইনাসের রাষ্ট্রতত্ত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে ধারণা দাও।
উত্তর: ভূমিকা: একুইনাসের রাজনৈতিক অবদান বা রাষ্ট্রদর্শন বিশ্লেষণ করলে অধ্যাপক ডানিং এর মন্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য। তিনি মন্তব্য করেন, মধ্যযুগের দ্বিতীয়ার্ধের পণ্ডিতকুলের মধ্যে এবং সম্ভবত সকল পণ্ডিতবর্গের মধ্যে একুইনাস ছিলেন শ্রেষ্ঠতম পণ্ডিত ব্যক্তি।
একুইনাসের রাষ্ট্রতত্ত্ব: একুইনাসের রাষ্ট্রতত্ত্ব তথা আইনতত্ত্ব বিষয়ক ধারণার মধ্যে মৌলিকত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও তিনি এ বিষয়ে এরিস্টটলকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে অনুসরণ করেছেন। একুইনাস তাঁর রাষ্ট্রতত্ত্ব বিশ্লেষণে ক্ষেত্রবিশেষে এরিস্টটলের ‘The Politics’ গ্রন্থ ব্যবহার করেছেন। এরিস্টটলের মতে, “তিনি মানুষকে সামাজিক ও রাজনৈতিক জীব হিসেবে অভিহিত করেছেন।” এটি মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম। তিনি মনে করতেন, সমাজ হতে রাষ্ট্রের উৎপত্তি এবং রাষ্ট্র একটি স্বাভাবিক প্রতিষ্ঠান। একুইনাসের রাষ্ট্রতত্ত্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়াবলি হচ্ছে: (i) প্রকৃতি ও সমাজ (ii) রাষ্ট্র ও সরকারের শ্রেণিবিভাগ এবং আইনতত্ত্ব। একুইনাস মূলত গ্রিক দর্শন থেকে মূল্যবোধ এবং খ্রিস্টধর্ম থেকে বিশ্বাসের ভিত্তিতে তার রাষ্ট্রচিন্তার ভিত ও সৌধ নির্মাণ করেন।
উপসংহার: উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, একুইনাস রাষ্ট্রতত্ত্বের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেটা যথেষ্ট বাস্ত বসম্মত। তিনি রাজতন্ত্রকে সমর্থন করলেও রাজতন্ত্র স্বৈরতন্ত্রে রূপান্তর হতে পারে এ মর্মে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। রাজা যদি এরূপ হয়, তাহলে তার চরম শাস্তি হওয়া উচিত। তবে এক্ষেত্রে কোন বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী শাস্তি দিবে না, জনগণই এর শাস্তি প্রদান করবে।