অথবা, খিলাফত আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে লিখ।
উত্তর: ভূমিকা: খিলাফত আন্দোলন ভারত উপমহাদেশের একই মঞ্চে এসে এ আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে অংশ নেয়। যদিও শেষপর্যন্ত এ আন্দোলন সফল হয়নি। কিন্তু, এ আন্দোলনের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক সচেতনতা জাগ্রত হয় তা পরবর্তীকালে বহু প্রথম স্বতঃস্ফূর্ত ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন। হিন্দু ও মুসলমানরা আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করে।
খিলাফত আন্দোলনের কর্মসূচি: নির্ধারণ মুসলমান খিলাফত কমিটির উদ্যোগে যে আন্দোলন এতে গান্ধীজি একাত্মতা ঘোষণা করেন। কিন্তু এ একাত্মতা ঘোষণা করাকে মিসেস বেসান্ত, মালাভিয়া, মতিলাল নেহেরু এবং চিত্তরঞ্জন দাস সমালোচনা করেন। ফলে খিলাফত অসহযোগ আন্দোলন একীভূত হয়।
গান্ধীজি বলেছেন, মুসলমানরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব করেছে। ঈশ্বর না করুন শান্তির শর্তসমূহ তাদের পছন্দ না হলে তারা সরকারের সাথে সকল সহযোগিতা বন্ধ করে দেবেন আমরা সরকারের উপাধি ও পদকসমূহ ধারণ করতে বা সরকারি অফিসে কাজ করতে বাধ্য নই। সরকার খিলাফতের ন্যায় যদি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেন, তাহলে অসহযোগ ছাড়া কোনো উপায় নেই।
১৯২০ সালে মাওয়ালা মুহম্মদ আলী ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসলে খিলাফত অসহযোগ আন্দোলনে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে। তিনি গান্ধীজি সহকারে ভারতের বিভিন্ন এলাকা সফর করেন এবং ছাত্রদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করে আন্দোলন করার জন্য আহবান জানান। আইনজীবীগণকে আদালন ত্যাগ করতে বলেছেন। ফলে ১৯২০ সালে খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলন চরম আকার ধারণ করে। কলকাতার ৩,০০০ ছাত্র ধর্মঘট করেন এবং জাতীয় কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। সুভাস চন্দ্র ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে ইস্তফা দেন এবং এ কলেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগদান করেন। অনেক আইনজীবী আইন পেশা ত্যাগ ন করে আন্দোলনে যোগ দেন। এভাবে খিলাফত আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, আন্দোলনের শিক্ষা ল থেকে ভারতীয় জনসাধারণ ব্রিটিশ সরকারের মনোভাব ও ব্রিটিশ । শাসন পদ্ধতির কৌশল সম্পর্কে অবগত হন। বাস্তবক্ষেত্রে তেমন । কিছু এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে লক্ষ্য করা যায়নি। তবে এটা ল ভারতবর্ষকে ভারতীয় আন্দোলনের জন্য তৈরি হওয়ার প্রেরণা দেয়। চা সুতরাং, খিলাফত আন্দোলন ছিল ব্রিটিশ সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ আন্দোলন।