পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার কৌশল ও কর্মসুচির মূল্যায়ন আলোচনা কর।

অথবা, পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার কৌশল ও কর্মসূচি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: ভূমিকাঃ স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশে এ যাবৎকালে গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনাসমূহ প্রণয়ন, বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন তথ্য সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণে বলা যায় যে, এ সকল পরিকল্পনার উন্নয়নের ধারাকে ত্বরান্বিত করতে সক্ষম হয়েছে। তাই এ সকল পরিকল্পনা জাতীয় উন্নয়নে ফলপ্রসূ অবদান রাখতে পারবে বলে আশা করা যায়।

পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার কৌশলসমূহঃ

১. দারিদ্র্য বিমোচনঃ পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার একটি কৌশল ছিল দারিদ্রদ্র্য বিমোচন করা। এ জন্য কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, আত্মকর্মসংস্থান, মানব সম্পদ উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল।

২. মানব সম্পদ উন্নয়নঃ পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মানব সম্পদ উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছিল। মানব সম্পদ উন্নয়ন ঘটানোর জন্য জনগণের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার, দক্ষতা প্রশিক্ষণের প্রতি জোর দেওয়া হয়।

৩. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণঃ আমাদের দেশের প্রধান সম্পদ জনসংখ্যাস্ফীতি পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে পরিবার পরিকল্পনার কর্মসূচি গ্রহণ এবং মা ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছিল।

৪. সমাজকল্যাণঃ পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সমাজকল্যাণ খাতের উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। এর কৌশলগুলো ছিল কিশোর অপরাধ ও মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন, কর্মসংস্থান বাড়ানো, দক্ষতা বৃদ্ধি, অসহায় শ্রেণির সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি।

৫. শিশুকল্যাণঃ পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার একটি কৌশল ছিল শিশুকল্যাণ এক্ষেত্রে কৌশলগুলো ছিল এতিম, অসহায় শিশুদের কর্মক্ষম নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা, শিশু অধিকার সুনিশ্চিতকরণ, শিশুদের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ, আইনি সহায়তাদান, শিক্ষা, পুষ্টি ইত্যাদি সহায়তা প্রদান করা।

৬. নারী কল্যাণঃ পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারী কল্যাণের প্রতি জোর দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে কৌশলগুলো হলো নারী অধিকার নিশ্চিতকরণ, নারীদের সমাধিকার প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, আইনগত সহায়তা প্রদান, মৌলিক চাহিদা পূরণ ইত্যাদি।

৭. শিক্ষা উন্নয়নঃ পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার কর্মসূচিতে শিক্ষা উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এর মধ্যে যে সকল কৌশল ছিল শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলা। প্রতিটি অঞ্চলে বিদ্যালয় স্থাপন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা, শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা ইত্যাদি।

পঞ্চম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার কর্মসূচির মূল্যায়ন:

১. জনসংখ্যাস্ফীতি হ্রাস: বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানোর জন্য প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কর্মসূচি করা হয়েছিল। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার, ৩% থেকেঃ রাধ এিংজাজ গেয়েছিল।

২. বেকারত্বঃ প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায়, কর্মসূচি প্রগ্যেপুরি। বানুরাসিক, নয়। ঐওয়াটারেকারত্ব বৃদ্ধি পায়, ফলে কর্মসংস্থাদ্যের সংস্থা জার প্রাদও সত্যায়নক চ্যাণত্মকচীপ চিল পিটে নিমীর ফার্সীমিত চক্যার্থীগন কাত্যায় ও আনাচাচ

৩ দারিদ্রা হ্রাস: প্রথম প্রজাবার্ষিকী পরিকল্পনায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিয়োজনেট রীবস্থা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মসূচি সফল না হওয়ায় দারিদ্র্য প্রকট আকার ধারণ করে।

৪. প্রথায় পুঞ্জবার্ষিকী পরিকল্পনার প্রবৃদ্ধির হার লক্ষ্যমত্রো অনুযায়ী অর্জন করাঃ সম্ভব হয়নি। তখন প্রবৃদ্ধির হার অর্জিত হয়েছিল মাত্র ৪ ভাগ।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে প্রথমে প্রঞ্চরার্ষিকী। পরিকল্পনার মেয়াদে সমাজকল্যাণ খাতের জন্য প্রাক্কলিত ক্যারমার্থিক ব্যয় বরাদ্দ হয় ৫২৫৩.৭০ মিলিয়ন টাকা এছাড়া পূর্ববর্তী চালুকৃত প্রকল্পসমূহের জন্য ব্যয় বরাদ্দ ঘরী হয় ৩২.০০ মিলি টাকা।