অথবা, পরিকল্পনা বলতে কী বুঝ? পরিকল্পনা পদ্ধতিগুলো বর্ণনা কর।
অথবা, পরিকল্পনার সংজ্ঞা দাও। পরিকল্পনার পদ্ধতির কাঠামো ব্যাখ্যা কর।
ভূমিকা: পরিকল্পনা হচ্ছে প্রত্যাশিত কোনো কার্যসম্পাদনের পূর্ব প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় মূল কোনো কার্যক্রম প্রক্রিয়া বা কৌশল অনুসরণের মাধ্যমে। এরূপ কার্যক্রম বা প্রক্রিয়া কখন, কোথায়, কিভাবে, কার মাধ্যমে, কম সময়ে, কম অর্থ ব্যয়ে ও কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে তাই পরিকল্পনা নির্দেশ করে। যে কোনো সমাজ বা দেশের আর্থ-সামাজিক কল্যাণ ও উন্নয়নের মূল চাবিকাঠিও পূর্বশর্ত হচ্ছে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ব্যতিরেকে লক্ষ্যে পৌছানো সম্ভব নয়। সুতরাং সাধারণ মানুষের থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপক পরিকল্পনাবিদ এমনকি উচ্চপদস্থ রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তার কাছে পরিকল্পনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরিকল্পনা হচ্ছে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের রূপরেখা বা সুশৃঙ্খল পদক্ষেপ।
পরিকল্পনার সংজ্ঞা: সাধারণত পরিকল্পনা বলতে কোনো বিষয়ে কি করতে হবে, কখন করতে হবে, কিভাবে করতে হবে, কি দিয়ে করতে হবে প্রভৃতি রূপরেখাকে বুঝায়। ব্যাপক অর্থে বলা যায়, কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছার নিমিত্তে এর আওতাধীন সম্পদের সমবন্টনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের সুশৃঙ্খল পদক্ষেপ হচ্ছে পরিকল্পনার একটি কাজের অগ্রিম চিন্তা ও মনস্তাত্ত্বিক ও বুদ্ধিবৃত্তিজাত প্রক্রিয়া। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদ ও পরিকল্পনাবিদ পরিকল্পনার বিভিন্ন সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।
পরিকল্পনার পদ্ধতি বা কৌশল: পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ও কৌশল পরিকল্পনাকে অধিক কার্যকরী ও ফলপ্রসূ করার জন্য প্রতিটি দেশেই যুক্তিসংগত পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। তাই পরিকল্পনার গ্রহণযোগ্যতা এর পদ্ধতি বা কৌশলের উপর নির্ভরশীল। প্রখ্যাত লেখক M.L Seth (1986) পরিকল্পনার কতকগুলো সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন। নিম্নে পরিকল্পনার এসব পদ্ধতিগুলো বর্ণনা করা হলো:
১. উদ্দেশ্য (Objectives): পরিকল্পনার অন্যতম কৌশল হচ্ছে পরিকল্পনার উদ্দেশ্যসমূহকে সুস্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা এবং এর যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদান। একটি দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যা, চাহিদা, উন্নয়ন প্রভৃতির প্রেক্ষিতে উন্নয়নের খাত নির্বাচন, সম্পদ আহরণ ও কৌশল প্রণয়ন প্রভৃতির সফল বাস্তবায়ন সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ব্যতীত সম্ভব নয়। পরিকল্পনাকে লক্ষ্যাভিমুখী করার জন্য কতকগুলো বিষয়ে খেয়াল রাখা আবশ্যক।
(ক) দেশের অনুন্নত অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য গুরুত্ব প্রদান করা হয়।
(খ) দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার ও সমাজের উপর নির্ভর হওয়া।
(গ) দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব প্রদান।
(ঘ) প্রাথমিক ও মাধ্যমিক লক্ষ্য হিসেবে দেশের আর্থ-সামাজিক ও শিল্পায়নকে বিবেচনা করা।
(ঙ) মৌলিক বা গৌণ উদ্দেশ্য হিসেবে কর্মসংস্থান পরিস্থিতিতে বিবেচনা করা।
(চ) জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে এর মাধ্যমগুলো খুঁজে বের করা।
২. লক্ষ্য নির্ধারণ (i’lan target): পরিকল্পনার উদ্দেশ্য নির্ণয়ের পর এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। এজন্য পরিকল্পনার উদ্দেশ্যসমূহকে গুণগত দিক থেকে পরিমাণগত দিকে রূপান্তর করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ, দেশের জনগণের শিক্ষার উন্নয়ন যদি উদ্দেশ্য হয়, তাহলে এর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হবে শিক্ষাস্তর ৬০% থেকে ৭০% এ উন্নীত করা। লক্ষ্য নির্ধারণ ব্যক্তিগত পর্যায় বা সামগ্রিক পর্যায় হতে পারে। এ প্রসঙ্গে এম এল. সেখ, (M.L. Seth) বলেছেন, To draw up and publish a list of target is not to plan, the real planning comes when government takes actions to realize these targets, অর্থাৎ একটি তালিকা প্রণয়ন এবং প্রকাশ পরিকল্পনা নয়, পরিকল্পনা তখনই সম্ভব হয় যখন সরকার কোনো লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করে।
৩. প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ: Determination of growth rate পরিকল্পনার পরবর্তী কৌশল হলো পরিকল্পনা। কমিশনের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ, এতে পরিকল্পনার আকার ও সময়সূচি উল্লেখ থাকে। সাধারণ পরিকল্পনা বাস্ত বায়নে সরকারের সমর্থন, জনগণের অংশগ্রহণ, প্রাপ্ত সম্পদের পর্যাপ্ততা পূর্ব থেকে অনেক সময় নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না। তবে এক্ষেত্রে পরিকল্পনাবিদগণ তিনটি উপায় এর দিকে লক্ষ্য রেখে প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ করে থাকেন। এগুলো হলো:
(ক) দেশের প্রয়োজনীয় চাহিদার প্রেক্ষাপটে প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ।
(খ) পর্যাপ্ত প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ।
(গ) প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির হার নির্ধারণ।
৪. বিনিয়োগ নির্ধারণ (Determining investment): পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রাথমিক পর্যায়ে পরিকল্পনার যে লক্ষ্যমাত্রা, উদ্দেশ্যে, প্রবৃদ্ধি নির্ধারণ করা হয়েছিল তা অর্জনের জন্য কি পরিমাণ সম্পদ বিনিয়োগের প্রয়োজন তা নির্ধারণ করেন। পরিকল্পনাবিদগণ কতকগুলো প্রবৃদ্ধির মডেল ব্যবহার করে বিনিয়োগের হার নির্ধারণ করেন। এক্ষেত্রে একটি জনপ্রিয় মডেল হচ্ছে Harrod Doman Model, যা ভারতের পরিকল্পনা কমিশন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। এই মডেলের সূত্র হলো:
g= অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার
g= নির্দিষ্ট সময়ে জাতীয় সঞ্চয়
st = নির্দিষ্ট সময়ে জাতীয় আয়
yt= মূলধন ও ফলাফলের পারস্পরিক হার
৫. মূলধন-আয় অনুপাত (Capital-output Ratio): একটি নির্দিষ্ট সময়ে এক একক আয় বৃদ্ধির জন্য কতটুকু মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে তার সম্পর্কই মূলধন আয় অনুপাত। উদাহরণস্বরূপ, মূলধন আয় অনুপাত যদি ৫:১ হয়, তাহলে বুঝতে হবে একক আয় বৃদ্ধির জন্য পাঁচ একক মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে। মূলধন আয় অনুপাত নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মূলধন আয়, মূলধন বিনিয়োগ, মূলধনের প্রান্তিক উৎপাদন, বৃদ্ধিপ্রাপ্ত মূলধন আয়-অনুপাত।
৬. অবকাঠামো বা বস্তুগত বনাম আর্থিক পরিকল্পনা: পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে এটা একটা বিপরীতধর্মী কৌশল। দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর মূলত এগুলো প্রয়োগ নির্ভর করে।
৭. অবকাঠামো বা বস্তুগত পরিকল্পনা: এমন এক ধরনের পরিকল্পনা যেখানে দেশের প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ বিবেচনায় রেখে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
৮. আর্থিক পরিকল্পনাঃ যখন পরিকল্পনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য অর্থের মাধ্যমে কৌশল নির্ধারণ করা হয় তখন তাকে আর্থিক পরিকল্পনা বলে। পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় এ ধরনের পরিকল্পনা প্রযোজ্য।
৯. পরিকল্পনার সামঞ্জস্যবিধানঃ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন খাতের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা পরিকল্পনার অন্যতম পদ্ধতি। এর উপর পরিকল্পনার সুষ্ঠু ও সফল বাস্তবায়ন নির্ভর করে। পরিকল্পনাতে তিন ধরনের সামঞ্জস্য বিধানের চেষ্টা করা হয়। যথা-ক, দু’প্রান্তের ভারসাম্য, খ. পশ্চাৎ প্রান্তের ভারসাম্য ও ৩. অর্থনৈতিক বা আর্থিক ভারসাম্য।
১০. উপর থেকে পরিকল্পনা বনাম নিম্ন থেকে পরিকল্পনা: এটা পরিকল্পনা প্রণয়নের পরস্পর বিপরীতধর্মী কিন্তু দ্বন্দ্বহীন দুইটি কৌশল।
১১. উপর থেকে পরিকল্পনা: এটাতে সরকার কর্তৃক পরিকল্পনা কমিশনের মাধ্যমে কোনো পরিকল্পনা গৃহীত। প্রণীত এবং বাস্তবায়ন করা হয়। এক্ষেত্রে M.L. Seth মন্তব্য করেছেন, Planning at the top, while it is more precise and co-ortinated, may be divorced from local needs.
১২. নিম্ন থেকে পরিকল্পনা: এটাতে স্থানীয় বা মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতার আলোকে পরিকল্পনা কমিশন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে থাকে। এক্ষেত্রে M.L Seth বলেন, Planning from below can be much more readlistic and in conformity with local needs and requirements.
১৩. পরিকল্পনার সময়সীমা: প্রত্যেকটি দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার ভিত্তিতে পরিকল্পনাকালীন সময় নির্ধারণ করা হয়। সময়ের ভিত্তিতে পরিকল্পনা কে M.LSeth নিম্নোক্ত নামকরণ করেছেনঃ
(ক) বার্ষিক পরিকল্পনাঃ মেয়াদ ১ বছর।
(খ) মধ্য মেয়াদি পরিকল্পনাঃ মেয়াদ ৫ বছর।
(গ) প্রেক্ষিত পরিকল্পনাঃ মেয়াদ ১৫-২০ বছর।
১৪. পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা: পরিকল্পনা একটি গতিশীল বা চলমান প্রক্রিয়া হওয়ায় কার্যত পরিকল্পনা প্রণয়নকালে অতীত পরিকল্পনার সূত্র ধরে নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। তাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত ও ফলপ্রসূ করার জন্য স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার দিকে লক্ষ্য করা হয়।
১৫. ঘূর্ণায়মান পরিকল্পনা: প্রতিবছর তিন ধরনের পরিকল্পনা করা উচিত। যেমন, প্রথমত, এক বছরের জন্য দ্বিতীয়ত, কয়েক বছরের জন্য এবং তৃতীয়ত, ১৫ থেকে ২০ বছরের জন্য। Professor Gunnar Myrtal পশ্চাৎপদ অর্থনীতির জন্য এ ধরনের পরিকল্পনার কথা বলেছেন। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা থেকে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে দ্বিবার্ষিক বা বাৎসরিক পরিকল্পনা প্রণয়ন পদ্ধতিকে ঘূর্ণায়মান পরিকল্পনা বলা হয়।
১৬. পরিপূরক পরিকল্পনা: সাধারণত অর্থনৈতিক সম্পদের অপর্যাপ্ততা এবং বেসরকারি খাতে সীমাবদ্ধতার প্রেক্ষিতে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহ দুই ভাগে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। (ক) প্রয়োজনীয় অথবা মূল অংশ এবং (খ) অনিশ্চিত বিষয়।
১৭. পরিকল্পনায় নমনীয়তা বনাম কঠোরতাঃ এটি পরিকল্পনার বিপরীতধর্মী কৌশল। সাধারণত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বাস্তব অবস্থা পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক পরিবর্তন, সম্পদের অপর্যাপ্ততা মনোভাবের পরিবর্তন প্রভৃতির প্রেক্ষিতে নমনীয় ও পরিবর্তনযোগ্য হতে হবে। এ প্রসঙ্গে এম. এল, সেখ (M.L. Seth) বলেছেন, “Planning protence dictates that the plan be attered, amented and motified in the light of new developments new experiences and new trends.”
পরিকল্পনার অন্যান্য পদ্ধতিঃ ড. দুর্গাদাস ভট্টাচার্য তাঁর কারবারের ব্যবস্থাপনা নামক গ্রন্থে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে তিন ধরনের পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেন। পদ্ধতিগুলো হচ্ছে-
১. নিজের অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ ও জ্ঞানের ভিত্তিতে পরিকল্পনা প্রণয়ন পদ্ধতিঃ বেশির ভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা প্রণীত হয় নির্বাহী ইচ্ছা ও আবেগের উপর। এর ফলে এধরনের পরিকল্পনায় ব্যক্তির আবেগ, ইচ্ছা, প্রশিক্ষণ, অভিজ্ঞতা দক্ষতা প্রভৃতি প্রভাব বিস্তার করে
২. অন্যের অভিজ্ঞতা, প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনাভিত্তিক পদ্ধতিঃ কোনো সফলতম প্রতিষ্ঠান বা নির্বাহীর অভিজ্ঞতার প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনার ভিত্তিতে এ ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এক পরিকল্পনার সময় ও ব্যয় করা লাগে।
৩. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিঃ পরিকল্পনার এই পদ্ধতিতে লক্ষ্যসমূহকে অধীনা চলক হিসেবে ধরা হয় এবং উপকরণগুলো পরস্পর নির্ভর করে মাত্রার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে পরিকল্পিত কার্যকরণের নির্ভরশীলতা বেশি বিধায় এটি বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা কম থাকে।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, উপর্যুক্ত পদ্ধতিসমূহ পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যবহার করা হয়। এগুলো পরিকল্পনা প্রণয়নের কৌশল হিসেবেও বিবেচিত। এসব পদ্ধতি যথাযথ প্রয়োগের উপর পরিকল্পনা প্রণয়নের সফলতা বহুলাংশে নির্ভর করে। পরিকল্পনার পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগ অন্যান্য উপাদানের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।