প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন কী?

অথবা, প্রাদেশিক স্বায়ত্ব শাসন বলতে কী বুঝ?

অথবা, প্রাদেশিক স্বায়ত্ব শাসন সম্পর্কে ধারণা দাও।

উত্তর : ভূমিকা: ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে সর্বভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা করা হয়। প্রস্তাবিত এ যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের ব্যবস্থা করা হয়। প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনকে লক্ষ্য করে এ আইনে শাসন সংক্রান্ত বিষয়সমূহকে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের উপর অর্পণ করা হয়। প্রাদেশিক আইনে প্রদেশ যে দ্বৈতশাসন প্রবর্তন করা হয়েছিল তা বাতিল করে দেয়া হয়। এরপর গভর্নর ও মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রাদেশিক শাসন বিভাগ গঠিত হয়। প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা গঠিত হয় প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে। প্রাদেশিক মন্ত্রিসভাকে আইনসভার কাছে দায়ী করা হয়। এভাবে ১৯৩৫ সালে ভারত শাসন আইনে তত্ত্বগতভাবে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন: ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অন্যতম মূল বৈশিষ্ট্য ছিল প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন। প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনকে এক কথায় সংজ্ঞায়িত করা যায় না। তবে সাধারণ অর্থে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন বলতে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রদেশগুলো কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে স্বতন্ত্র আইন প্রণয়ন ও শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত শাসনের থাকবে। প্রাদেশিক মন্ত্রিপরিষদ আইন পরিষদের নিকট দায়ী থাকবে এবং আইনসভা প্রাদেশিক গভর্নরের কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণযুক্ত থাকবে। এছাড়া প্রাদেশিক যে গভর্নর হবে তিনি কেবল নিয়মতান্ত্রিক প্রধান ছিলেন। N.C. Roy এর মতে, Provincial Autonomy was regarded as the cornerstone of the new constitution of India.

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন ছিল অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কাজেই প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের জন্য এ আইন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।