রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলতে রাজি নন কোন কোন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ?

অথবা, কোন কোন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলতে রাজি নন?

অথবা, যেসব রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলতে সম্মত নয় তাদের নাম লিখ।

উত্তরঃ ভূমিকা: সামাজিক বিজ্ঞানের একটি অন্যতম শাখা হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের পর্যায়ভুক্ত করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক এরিস্টটল। এরিস্টটলের মতো আরো অনেক দার্শনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করলেও কতিপয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বা দার্শনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলতে নারাজ। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বাকলে (Bukle) অধ্যাপক গিলক্রিস্ট (Gilchrist) কোঁতে, অ্যামস প্রমুখ।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলতে রাজি নন যেসব রাষ্ট্রবিজ্ঞানী: যেসব রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান বলতে রাজি নন তাদের অভিমত নিম্নে তুলে ধরা হলো:

অধ্যাপক গিলক্রিস্টের মতানুসারে, “রাষ্ট্রবিজ্ঞানে কোন স্থির, নির্দিষ্ট এবং অভিন্ন সূত্রের সন্ধান পাওয়া মুশকিল ব্যাপার।”

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বাকলে এর মতে, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিজ্ঞান হওয়া দূরের কথা কলাবিদ্যার মধ্যেও এটা সর্বনিম্ন স্তরের।” রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অ্যামসের মতে, “রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু এতই জটিল ও ব্যাপক যে, এতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ব্যবহার সম্ভব নয়।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে যেহেতু পরীক্ষাগারে পরীক্ষানিরীক্ষা করা যায় না। সেহেতু উপর্যুক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগণ একে বিজ্ঞান বলতে রাজি নন। বিজ্ঞানের সকল বৈশিষ্ট্য রাষ্ট্রবিজ্ঞানির মধ্যে নেই। তাই’ একে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান না বলে সামাজিক বিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করা যায়।