লাহোর প্রস্তাবের কারণ আলোচনা কর।

অথবা, লাহোর প্রস্তাবের কারণ উল্লেখপূর্বক বর্ণনা দাও।

উত্তর: ভূমিকা: লাহোর প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে মুসলমানদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বায়ত্তশাসন। লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের পেছনে বিভিন্ন কারণ ছিল যে সব কারণের পরিপেক্ষিতেই মূলত লাহোরে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

লাহোর প্রস্তাবের কারণসমূহ বর্ণনা করা হলো:

১. ব্রিটিশ সরকারের ঘোষণা: ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মুসলিমলীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ব্রিটিশরা মুসলমানদের আলাদা জাতি হিসাবে ভাবতে থাকে। ১৯০৯ সালে মার্লে মিন্টো সংস্কার আইন মুসলমানদের জন্য তারা সম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার দেন। ১৯০৯ সালে ইংল্যান্ডের হাউস অব লর্ডস এ লর্ড মার্লে ঘোষণা করেন যে, ভারতীয় মুসলমানরা শুধুমাত্র একটি পৃথক ধর্ম অনুসরণ করে তা নয়, সামাজিক আচরণ ও জীবনযাত্রার দিক দিয়ে একই পৃথক জাতির সমতুল্য।

২. স্যার সৈয়দ আহমদের প্রথম বীজ বপন: উনবিংশ শতকের শেষদিকে স্যার সৈয়দ আহমদ খান ভারতীয় রাজনীতিতে মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের বীজ বপন করেন। তিনিই প্রথম ঘোষণা করেন, ভারতে দুটি ভিন্ন জাতি বসবাস করে। সম্প্রদায়িকতার মনোভাব এখান থেকেই মূলত শুরু হয়। যে কারণে তিনি হিন্দু প্রভাবিত কংগ্রেসে মুসলমানদের যোগ দিতে বারণ করেন।

৩. লক্ষ্মৌচুক্তি ও জিন্নাহর চৌদ্দ দফার কারণ: প্রথম মহাযুদ্ধে সময় ও পরে মুসলমানরা স্বতন্ত্র নির্বাচন দাবি করে আসছিল। লক্ষ্মৌচুক্তি (১৯১৬) জিন্নাহর চৌদ্দ দফা (১৯২৯) দাবিতে এর প্রতিফলন ঘটে। প্রথম মহাযুদ্ধের পর উলামা সম্প্রদায়ের রাজনীতিতে প্রভাব মুসলমানদের বিচ্ছিন্নতাকে আরও চাঙ্গা করে। ফলে মুসলমানদের একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য লাহোর প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।

৪. নেহেরু রিপোর্ট প্রতিক্রিয়া: ব্রিটিশ ভারতের শাসনতান্ত্রিক বিধানের অগ্রগতির ইতিহাসে নেহেরুে রিপোর্ট এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল। সকল রাজনৈতিক দল ও সমস্ত দলের প্রতিনিধি নিয়ে ব্রিটিশ ভারতের সংবিধানিক সমস্যা সমাধানের পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য ১৯২৮ সালে নেহেরু রিপোর্ট এর কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটি লক্ষ্মৌচুক্তিতে মুসলমানদের যে স্বার্থ ছিল তা সংরক্ষণের জন্য গৃহীত ব্যবস্থাদি অস্বীকার করেই সুপারিশ প্রণয়ন করে। নেহেরু কর্তৃক কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ বিবেচনার জন্য কলকাতার সর্বদলীয় অধিবেশন আহ্বান করা হয়। এ অধিবেশনে মুসলিম লীগেও খিলাফত কমিটির দাবি বিবেচনা করার জন্য একটি সাব কমিটি গঠিত হয়। তবে নেহেরু রিপোর্টের ওপর মুসলমানদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যা মুসলিম লীগ কর্তৃক সংশোধনের প্রস্তাব করা হয় তা সাব কমিটি অগ্রাহ্য করেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় মুসলিম নেতাদের মধ্যে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাধারার পরিবর্তন দেখা দেয়। মুসলিম নেতারা অনুধাবন করতে পারে যে হিন্দু ও মুসলমান জাতির মধ্যে আন্তরিকতা ও ঐক্যবদ্ধ জাতি প্রতিষ্ঠা কোনোটিই সম্ভব নয়। আবার এটাও নিশ্চিত যে মুসলমানদের স্বার্থ সংরক্ষণ একেবারেই অসম্ভব।

৫. অগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ: ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প আরো ঘনীভূত হয়ে ওঠে যখন কংগ্রেসের সভাপতি পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু একটি মন্ত ব্য করেন যে, ‘ভারতে দুটি শক্তির অস্তিত্ব লক্ষণীয়’। একটি হলো সরকার এবং অপরটি হলো কংগ্রেস দল। তার একথা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে, অন্য কোনো দলের বা সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব তিনি এবং কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ ও মহাত্মা গান্ধী কেউ স্বীকার করতে নারাজ ছিলেন। আর তাদের এ সংকীর্ণ মনোভাব মুসলমান নেতাদের মধ্যে বিরাট প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। যে জিন্নাহ ছিলেন এতদিন হিন্দু-মুসলিম মিলনের অগ্রদূত তিনিও এতে প্রচন্ড আঘাত পান। তবে প্রধানত ভারতীয় জনগণের ওই অংশটি মনে করতো যে ব্রিটিশরা চলে গেলে হিন্দু সম্প্রদায় ভারত শাসন করবে। তারা মুসলমানদের প্রতিপক্ষ হিসাবে সব সময় দেখতো। তাই মুসলমানদের আলাদা একটি জাতি প্রতিষ্ঠা করার ইচ্ছা তাদেরও পরোক্ষভাবে ছিল।

৬. গোল টেবিল আলোচনা ব্যর্থ: ভারতীয় উপমহাদেশের জনগণের মধ্যে চরম উত্তেজনা প্রশমন এবং হিন্দু-মুসলমান সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে লন্ডনে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় বিভিন্ন দল, সম্প্রদায় ও দেশীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৯৩৯ সালে একটি গোল টেবিল আলোচনার আয়োজন করেন। এখানে কংগ্রেস নেতাদের সংকীর্ন মনোভাবের কারনে সম্প্রদায়জাত সংরক্ষনের জন্য আইনসভার প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নে গোল টেবিল আলোচনার সিদ্ধান্ত গ্রহনে ব্যর্থ হয়। কংগ্রেস কর্তৃক মুসলমানদের ন্যূনতম দাবি মেনে না নেওয়ার কারণে কংগ্রেস সম্পর্কে মুসলিম লীগের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়। এর ফলে মুসলিম লীগ নেতারা মুসলমানদের আলাদা আবাসভূমি সৃষ্টির দিকে মনোযোগ দেন।

৭. মুসলিম চিন্তাবিদদের স্বপ্ন: লাহোর প্রস্তাবে যে স্বাধীন মুসলিম আবাস ভূমির দাবি করা হয়েছে অনুরূপ একই প্রস্তাব ১৯৩০ সালে মুসলিম চোখের মনি মহাকবি আল্লামা ইকবাল তার একটি ভাষণে উল্লেখ করেন। সেটি ছিল এলাহাবাদে। তিনি মুসলমানদের জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একত্রিত হতে আহ্বান জানান। আর তিনি এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে উত্তর পশ্চিম ভারতে মুসলিম আধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে সাম্প্রদায়িক ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। তিন বছর পর ১৯৩৩ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চৌধুরী রহমত আলী ভারতের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ ৫টি মুসলিম এলাকার জন্য পাকিস্তান নামের উদ্ভাবন করেন। ১৯৩৫ সালের আগেই – ধারাবাহিকতার পুনরায় এ দাবি উত্থাপন করেন। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন কাদরী উত্তর ভারত, বাংলা ও হিন্দুস্থান এই তিনটি রাষ্ট্র স্থাপনের প্রস্তাব করেন। এসব পরিকল্পনা থেকে হিন্দু-মুসলমান প্রশ্নে কয়েক ধরনের সমাধান প্রস্তাব আসে। কিন্তু তখনও অসাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তিসম্পন্ন নেতা কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলমানদের জন্য পৃথক কোনো রাষ্ট্রের কথা ভাবেননি। পরে অবশ্য কংগ্রেস সভাপতি নেহেরু গভীরভাবে তাকে এ বিষয়ে ভাবতে বাধ্য করে।

৮. ১৯৩৫ ভারত শাসন আইন: ভারতীয় জনসাধারণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। এজন্য এ আইনের বিরুদ্ধে মুসলিম লীগ ও কংগ্রেস উভয়ে অবস্থান নেয়। যার ফলে আইনগুলো কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। তবে এ আইনগুলো শুধু প্রদেশে বাস্ত বায়ন করা হয়। ১৯৩৭ সালে প্রদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুসলিম লীগ কিছুটা সাফল্য অর্জন করলেও এককভাবে মন্ত্রিসভা গঠন করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে লীগ কংগ্রেস যুক্তভাবে মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তাব দিলে কংগ্রেস তা প্রত্যাখ্যান করে। শুধু বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশে মুসলিম লীগের নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। ভারতের অধিকাংশ প্রদেশে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু তারা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে মুসলিম লীগের সাথে আলোচনা না করেই একক মন্ত্রিসভা গঠন করে। তাদের শাসনামলে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ফলে মুসলমানদের অবস্থা একেবারেই শোচনীয় হয়ে পড়ে। ফলে মুসলিম নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারে হিন্দু মুসলিম সহাবস্থান সুখকর নয়।

৯. ১৯৩৭ সালের নির্বাচন মুসলিম স্বার্থবিরোধি নীতি গ্রহণ: ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী ১৯৩৭ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাতে কংগ্রেস অধিকাংশ প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভকরে। মুসলিম লীগ বাংলা ও পাঞ্জাবে উল্লেখযোগ্য আসন লাভ করে এবং সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা গঠন করেন। মাদ্রাজ, যুক্ত প্রদেশ, সীমান্ত প্রদেশ, বুম্বাই ও আসামে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে মুসলিম লীগের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এককভাবে মন্ত্রিসভা গঠন করে। তারা ক্ষমতায় আরোহণ করে দলীয় পতাকা উত্তোলন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্দেমাতরম জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে হিন্দী চালু করে। এ সময়ে স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে, ভারতে হিন্দুরাজ প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জিন্নাহ নিজেও কংগ্রেস শাসনকে হিন্দু শাসনের নামান্তর বলে ঘোষণা করেন এবং কংগ্রেস জাতীয়তাবাদের মুখোশ পরে ভারতে হিন্দু রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে বদ্ধপরিকর। যখন জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের শাসনে ভারতীয় মুসলমানদের কোনো মৌলিক অগ্রগতি সম্ভব নয়। তখন দাঙ্গা দেখা দেয় যা সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি করে। এসব ঘটনার ফলে লীগ নেতাদের যারা প্রগতিশীল ছিলেন তারাও ভারতের আদর্শ থেকে দূরে সরে দাঁড়ান।

১০. জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্ব ঘোষণা: লাহোরে মুসলিম লীগের অধিবেশনে ১৯৪০ সালের ২২-২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। এর বিশ্বযুদ্ধের ভারত সরকারের যুদ্ধনীতির প্রতি মুসলিম লীগের নীতি নির্ধারণের জন্য অধিবেশন ডাকা হয়। মুসলিম লীগ সভাপতি এ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন ভারতের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের ভবিষ্যৎ শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা ও দ্বিতীয় সময় দ্বিজাতিতত্ত “ঘোষণা করেন। তিনি দ্বিজাতির রাজনৈতিক সমস্যা আন্তঃসাম্প্রদায়িক ধরনের নয়, দৃশ্যত এ সমস্যা হল আন্তর্জাতিক। আমাদের প্রধান পথ হলো জাতিগুলোকে মাতৃভূমি গঠনে সহায়তা করে ভারতকে দুটি স্বশাসিত জাতীয় রাষ্ট্রে বিভক্ত করা। দ্বিজাতিতত্ত্বের বিরুদ্ধে কংগ্রেস হিন্দু রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা সোচ্চার হয়ে ওঠেন। অবশ্য জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ছিল না। জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের ঘোষণা ভারতের মুসলমানদের চেতনা অগ্নি স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে দেয়। পৃথক আবাস ভূমি বা স্বাধীনতার স্বপ্ন তাদেরকে জাগিয়ে তোলে।

১১. মুসলিম লীগের নাজাত দিবস পালন: ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে লর্ড লিনলিথগো মন্ত্রীসভাকে উপেক্ষা করে একতরফাভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এর প্রতিবাদে কংগ্রেস মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন এতে মুসলিম সন্তুষ্ট হয়ে ১৯৩৯ সালের ২২ ডিসেম্বর নাজাত দিবস পালন করে। এই দিবস পালনের মধ্য দিয়ে মুসলিম লীগের দ্বিজাতি তত্ত্ব নীতি প্রত্যক্ষভাবে প্রকাশিত হয়।

১২. লর্ড লিনলিথগোর আগস্ট ঘোষণা: কংগ্রেস মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের পর লর্ড লিনলিথগো ১৯৩৯ সালে আগস্ট মাসে ঘোষণা করলেন যে, যুদ্ধের পর ভারতীয়দের ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস এর দাবি স্বীকার করে নিয়ে একটি শাসনতন্ত্র রচনা হবে। তবে ভারতীয় জাতীয় জীবনের একটি গোষ্ঠী যদি শাসন সংস্কার না চায় তাহলে ব্রিটিশ সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। এই ঘোষণার দ্বারা তিনি পরোক্ষভাবে জানিয়ে দেন মুসলিম লীগ রাজি না হলে ব্রিটিশ সরকার কোন সংবিধান বা শাসনতন্ত্র দিবে না। আর এটা মুসলিম লীগের দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে আরও বেশি উৎসাহিত করে।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, ইতিহাসে যে কতগুলো ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম লাহোর প্রস্তাব। উপরে যেসব কারণে লাহোর প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে এসব কারণ যদি এক কথায় বলা যায় ইতিহাসে লাহোর প্রস্তাব যথাযথ কারণেই যথা সময়ে উত্থাপন করা হয়েছে। একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় গভীর দেশপ্রেমের কারণেই মূলত এ প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।