অথবা, সামাজিক নীতির উদ্দেশ্যগুলো সংক্ষেপে আলোচনা কর।
অথবা, সামাজিক নীতির উদ্দেশ্য উল্লেখ কর।
অথবা, সামাজিক নীতির উদ্দেশ্য সম্পর্কে কি জান?
ভূমিকা: সামাজিক নীতি “নীতি” প্রণয়নের বৃহত্তর ক্ষেত্রের একটি সুনির্দিষ্ট দিক মাত্র। একটি রাষ্ট্রের অনেক ধরনের নীতি থাকতে পারে। এসব নীতির মাঝে যেসব নীতি সামাজিক নীতি সামাজিক সমস্যা ও গণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রার সাথে সংশ্লিষ্ট সেগুলো সামাজিক নীতির সুনির্দিষ্ট গড়ীর আওতাধীন বলে বিবেচিত।
সামাজিক নীতির উদ্দেশ্যগুলো: সামাজিক নীতির এক নয় একাধিক উদ্দেশ্য বিদ্যমান। নিম্নে সামাজিক নীতির উদ্দেশ্যগুলো আলোচনা করা হলো:
১. পরিবর্তন সাধন করা: সামাজিক নীতির উদ্দেশ্য হলো সামাজিক পরিবর্তন সাধন করা। এই পরিবর্তন হতে হবে বাঞ্চিত ও পরিকল্পিত। যে সকল সামাজিক রীতিনীতি, মূল্যবোধ, সমাজের মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে সে গুলোর পরিবর্তন সাধন করা, সামাজিক নীতির উদ্দেশ্য।
২. দারিদ্রদ্র্য দূরীকরণের ব্যবস্থা করা: সমাজে দারিদ্রতা জনগণের জীবনযাত্রার মানের ওপর নির্ভর করে থাকে। সামাজিক নীতির মাধ্যমে দারিদ্রা দূরীকরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। সামাজিক নীতির আলোকে দারিদ্রদ্র্য দূরীকরণের পরিকল্পনা গৃহীত হয়। সামাজিক নীতির মাধ্যমে স্বকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টা করা হয়।
৩. সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা: সামাজিক নীতির মাধ্যমে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়। সামাজিক নীতিতে সম্পদের বৈষম্য হ্রাসের চেষ্টা করা হয়ে থাকে। সকল সম্পদ সমাজের সব মানুষের মধ্যে সমবণ্টিত হয়।
৪. কুসংস্কার দূরীকরণের ব্যবস্থা করাঃ প্রতিটি সমাজে কুসংস্কার ও কুপ্রথা প্রচলিত আছে। সামাজিক নীতির মাধ্যমে এই সকল কুপ্রথা কুসংস্কার দূর করার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
৫. সবকারের বিভিন্ন কর্মসূচির সুষ্ঠু পরিচালনা করা: সামাজিক নীতির আলোকে পরিকল্পনা গ্রহণ করে কর্মসূচি বাস্ত বায়নের প্রচেষ্টা চালানো হয়ে থাকে। সামাজিক নীতির মাধ্যমে কর্মসূচির কার্যকারিতা নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, কমিউনিটিতে যে বিশেষ শ্রেণির স্বার্থ সংরক্ষণ সামাজিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় সামাজিক নীতি তার সাথে সংশ্লিষ্ট। তবে সামাজিক নীতি শুধু বিশেষ শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করে না বরং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রয়োজন অনুযায়ী, তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রণীত হয়।