অথবা, ১৯৩৫ সালের কার্যাবিনার যায়ীলো প্রাদেশিক আইনসভার গঠন, ক্ষমতা ও পর্যালোচনা কর।
ভূমিকা: ভারতের সাংবিধানিক বিবর্তনের ইতিহাসে ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইন জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হলে ক্রমাগত জন অসন্তোষ কমানোর লক্ষ্যে দীর্ঘ ১৬ বছর পর ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন প্রণয়ন করে ব্রিটিশ সরকার। কিন্তু এতেও ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্ক্ষার তেমন কোনো প্রতিফলন হয়নি। এ আইনে ব্রিটিশ সরকার প্রাদেশিক আইন সভার প্রচলন করে।
প্রাদেশিক আইনসভার গঠন: ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী প্রাদেশিক পার্লামেন্টসমূহ ছিল এককক্ষ বিশিষ্ট। কিন্তু ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে তা বাতিল করে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠন করা হয়। কিন্তু সকল প্রদেশে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা গঠনের ব্যবস্থা করা হয়নি। শুধু বাংলা, বিচার, আসাম উত্তর প্রদেশ, মাদ্রাজ, মুম্বাই এ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা। বাকি ৫টি প্রদেশে এক-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রচলন থেকে যায়। ব্রিটিশ রাজ্যের এ সকল গভর্নরকে প্রাদেশিক আইন পরিষদের একটি অঙ্গ বলে এ আইনে প্রকাশ করা হয়। যে সকল প্রদেশে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা রয়েছে তার উচ্চকক্ষকে Legislatave এবং নিম্নকক্ষকে Legislative Assembly বলা হয়।
আইন প্রণয়নকারি পরিষদ: ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন যে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার প্রবর্তন করা হয় তা বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন ধরনের সদস্য সংখ্যার উপর ভিত্তি করে গঠন করা হয়। তন্মধ্যে বাংলা প্রদেশের সদস্য সংখ্যা ছিল ৫ জন। আসাম প্রদেশের আইন পরিষদের সদস্য সংখ্যা ছিল ২০ জন। Legislative council ছিল একটি স্থায়ী সংস্থা, এর এক-তৃতীয়াংশ সদস্যকে প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর অবসর গ্রহণ করতে হতো। এর মেয়াদকাল ছিল ৯ বছর। আইন পরিষদের নির্বাচনে প্রদেশের সর্বমোট ১৪% লোক ভোট দেয়ার অধিকার পান। Legislative council এর কিছু সদস্য নির্বাচিত এবং কিছু সদস্য গভর্নর কর্তৃক মনোনীত হতেন, সভাপতি সদস্যদের মধ্য থেকেই নির্বাচিত হতেন।
আইন প্রণয়নকারি সভা: প্রাদেশিক আইনসভার নিম্নকক্ষকে বলা হতো Legislative Assembly। এ সভার সদস্যরা প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতেন। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতো পৃথক নির্বাচনের ভিত্তিতে। এ সভার মেয়াদকাল ছিল ৫ বছর। গভর্নর মনে করলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই তা ভেঙে দিতে পারতেন অথবা জরুরি অবস্থায় এর মেয়াদ বাড়াতে পারতেন। বিভিন্ন প্রদেশে এ সভার সদস্য সংখ্যা ছিল বিভিন্ন ধরনের। যথা: বাংলা প্রদেশে ছিল ২৫০ জন। সভার সদস্যদের মধ্য হতে স্পীকার বা ডেপুটি স্পীকার নির্বাচিত হতেন। সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবে স্পীকার ও ডেপুটি স্পীকারকে বাতিল করা যেত। সভার অধিবেশন বছরে একবার অনুষ্ঠিত হতো। গভর্নর সভার অধিবেশন আহ্বান করতেন, মুলতবি রাখতে পারতেন অথবা প্রয়োজনবোধে ভেঙ্গেও দিতে পারতেন। তিনি আইন পরিষদে বক্তৃতা বা বাণী দিতে পারতেন। এছাড়া দেখা যায় যে, প্রাদেশিক আইনসভা নামেমাত্র ছিল। সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ করত গভর্নর।
প্রাদেশিক আইন পরিষদের কার্যাবলি: ১৯৩৫ সালে যে ভারত শাসন আইন প্রবর্তন করা হয় এতে প্রাদেশিক আইন পরিষদকে বিভক্ত করা হয়। তবে এ আইনে পরিষদকে অনেকগুলো ক্ষমতা দেওয়া হয়। যথা-
১. আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ক্ষমতা ও কার্যাবলি : ১৯৩৫ সালে ভারত শাসন আইনে প্রাদেশিক তালিকাভুক্ত বিষয়ের উপর এককভাবে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা প্রাদেশিক আইন পরিষদকে দেয়া হয়। তবে যুগ্ম তালিকাভুক্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতা না করে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদেশকে অর্পণ করা হয়। প্রাদেশিক যে আইনসভা ছিল এতে অনেক ক্ষমতা দেয়া হলেও তা ছিল অনেকটা সংকুচিত। কারণ, গভর্নরের পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোনো বিল আইনসভায় উত্থাপন করা যেত না। দেখা যায়, আইন পরিষদ কর্তৃক প্রণীত যে কোনো বিলে গভর্নর ভেটো দিতে পারতেন। যে কোনো বিলের বিবেচনার জন্য গভর্নর জেনারেলের কাছে প্রেরণ করা যেত। গভর্নর জেনারেল রাজা/রানীর পক্ষ থেকে এ ধরনের বিলে অনুমোদন দিতে পারতেন কিংবা পুনর্বিবেচনার জন্য প্রাদেশিক আইনসভার বিলটি ফেরত পাঠাতে পারতেন কিংবা রাজার বিবেচনার জন্য বিলটি সংরক্ষণ করতে পারতেন।
এছাড়া কতকগুলো নির্দিষ্ট ধরনের বিল উত্থাপন করতে গেলে গভর্নরের পূর্বানুমতির প্রয়োজন ছিল, যেমনঃ
(ক) ব্রিটিশ ভারতের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক প্রণীত কোনো আইনের সংশোধন বা বিলোপ সাধনের জন্য উত্থাপিত বিল।
(খ) গভর্নর জেনারেলের কোনো কাজে বা অর্ডিন্যান্স সংশোধন বা বিলোপ সাধনের বিল।
(গ) গভর্নর জেনারেলের কোনো স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা বিরোধী কোনো বিল।
(ঘ) ইউরোপীয় ব্রিটিশ প্রজাদের Criminal processdinbgs সংক্রান্ত কোনো বিল।
২. শাসন সংকান্ত ক্ষমতা ও কার্যাবলি: ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে প্রাদেশিক মন্ত্রিপরিষদের উপর আইনসভার যথেষ্ট কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ ছিল। সরকারের দুর্বলতা প্রকাশ করা, সরকারের নীতিসমূহের সমালোচনা করা। প্রশ্ন ও সম্পূরক প্রশ্ন উত্থাপনের মাধ্যমে জনগণের অভিযোগ আলোচনা করা এবং প্রকাশ করা, মুলতবি প্রস্তাব উত্থাপন এবং বাজেট সম্পর্কিত বিতর্ক প্রভৃতি দ্বারা আইনসভা প্রশাসনের উপর নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করতে পারত। আইনসভা মন্ত্রিপরিষদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারত এবং অনাস্থা প্রস্তাব পরিষদে পাস হলে মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করতে বাধা ছিল। এক্ষেত্রে দেখা যায়, মন্ত্রীদের ক্ষমতায় থাকা আইন পরিষদের সন্তুষ্টির উপর নির্ভরশীল ছিল। আইনসভায় গৃহীত প্রস্তাব পাস করতে মন্ত্রীগণ উদ্দেগী ছিলেন। আইনসভায় প্রশ্নোত্তর বিষয়টি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রাণবন্ত। কেননা এর মাধ্যমে শাসন বিভাগের ভুলভ্রান্তিগুলো লক্ষ করা যেত।
৩. অর্থসংক্রান্ত ক্ষমতা ও কার্যাবলি: ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী প্রাদেশিক আইনে সভার প্রাদেশিক অর্থসংক্রান্ত বিষয়ে প্রভূত পরিমাণ ক্ষমতা ছিল। তবে প্রাদেশিক আইনসভাকে অনেক ক্ষমতা প্রদান করা হলেও আবার অনেক বিধিনিষেধও ছিল। এতে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় আইনসভার ন্যায় প্রাদেশিক আইনসভা ও অর্থ বিষয়ক কোনো প্রারম্ভিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারতেন না। কর ধার্য এবং তা বৃদ্ধি করা, ঋণগ্রহণ করা, প্রাদেশিক রাজস্বের অর্থব্যয় নির্বাহ প্রভৃতি প্রস্তাব গভর্নরের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে আইন পরিষদে আলোচনা করা যেত। নতুন অর্থ বছর শুরু হওয়ার আগে গভর্নর ঐ বছরের জন্য বাজেট পরিকল্পনা পরিষদে পেশ করার ব্যবস্থা করতেন। এ আর্থিক বিবরণীতে ভোটযোগ্য ও ভোট বহির্ভূত বিষয়গুলো পৃথকভাবে দেখানো হতো। এতে দেখা যায়, বাজেটের প্রায় ৩০ ভাগ মঞ্জুরি ছিল ভোট বহির্ভূত। আইনের ৭৮ (৩) নং ধারায় নিম্ন লিখিত বিষয়গুলো ভোট বহির্ভূত ছিল। যথা-
(ক) প্রশাসনিক ক্ষমতা:
১. স্বেচ্ছাধীন ক্ষমতা।
২. ব্যক্তিগত বিবেচনাধীন ক্ষমতা ও বিশেষ দায়িত্ব।
৩. মন্ত্রিসভার পরামর্শক্রমে ব্যবহৃত ক্ষমতা।
(খ) আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত ক্ষমতা।
(গ) অর্থ সংকান্ত ক্ষমতা।
(ঘ) প্রদেশের উপর নিয়ন্ত্রণ।
(ঙ) জরুরি অবস্থাকালীন ক্ষমতা।
১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের ৭৮ (৩) নং ধারায় বহির্ভূত বিষয়গুলোর বিবরণ দেয়া হলো:
১. গভর্নরের বেতন ভাতা ও অন্যান্য ব্যয়।
২. দেশের জন্য সংগৃহীত কাজের দায় পরিশোধ।
৩. মন্ত্রিবর্গ ও এডভোকেট জেনারেলের বেতন ভাতা।
৪. স্বতন্ত্র এলাকায় প্রশাসন সংকান্ত ব্যয়।
৫. যে কোনো আদালতের বিচার, রায়, কিংবা ডিক্রি কার্যকর করার জন্য আবশ্যকীয় ব্যয়।
এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, গভর্নরের বেতন ও ভাতা ছাড়া অন্যান্য ভোট বহির্ভূত বিষয়গুলোর উপর আইন পরিষদে আলোচনা করা যেত, তবে এসব বিষয়ের কোনটির উপর ভোট দেয়া যেত না। ভোটযোগ্য বিষয়গুলো মঞ্জুরি দাবি আকারে আইন পরিষদে পেশ করা হতো। পরিষদ ঐ মঞ্জুরি দাবি গ্রহণ, প্রত্যাখ্যান কিংবা অর্থের পরিমাণ হ্রাস করতে পারত। তবে পরিষদ অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি কিংবা এক খাতের অর্থ অন্য খাতে পরিবর্তন করতে পারত না। তার গভর্নর ইচ্ছা করলে পরিষদ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত মঞ্জুরি দাবি আবার বাস্তবায়ন করতে পারতেন। এভাবে দেখা যায়, অর্থসংক্রান্ত বিষয়ে
পরিষদের ক্ষমতা খর্ব করা হয়।
মুল্যায়ন: ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের মাধ্যমে – প্রাদেশিক আইন পরিষদকে দেয়া ক্ষমতা ও কার্যাবলি ছিল পূর্বের অন্য কোনো আইন এর চেয়ে ব্যতিক্রম। এ আইনে দেখা যায় – আইন পরিষদে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত সদস্য দ্বারা আইন পরিষদ গঠিত হয়। আইন পরিষদে মনোনীত সদস্যের সংখ্যা ছিল খুবই সীমিত। পরিষদ নির্বাচনে ভোটাধিকার সীমিত হলেও ভোটদাতাদের সংখ্যা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি করা হয়। প্রাদেশিক তালিকার সকল বিষয়ে আইন পরিষদকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল।
১৯১৯ সালের আইন পরিষদ ১৯৩৫ সালের আইন পরিষদ থেকে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল। তবে এ আইনে প্রাদেশিক আইন পরিষদ সার্বভৌম সংস্থা ছিল না। এতে দেখা যায়, ভোটার সীমিত হওয়ার কারণে আইন পরিষদগুলো হয়ে উঠেছিল অভিজাত ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের একটি দুর্গ। এছাড়া পরিষদ গঠন করার ক্ষেত্রে দেখা যায় বিভিন্ন স্বার্থের ব্যক্তিদের নিয়ে এ পরিষদ গঠন করা হতো। ভোটাধিকারের ক্ষেত্রে দেখা যায় শতকরা মাত্র ১৪ জন লোক ভোটাধিকার পান এবং ৮৬ জন লোক গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। এছাড়া গভর্নরের হাতে অত্যধিক ক্ষমতা ছিল যা সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের পরিপন্থি। আইন পরিষদের আইন প্রণয়নের ক্ষমতাকে নানাভাবে সংকুচিত করা হয়, অর্থ বিষয়ক ক্ষেত্রে গভর্নর এর নিয়ন্ত্রণ থাকায় আইন পরিষদের ক্ষমতা খর্ব হয়। প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার উপর আইন পরিষদের যে ক্ষমতা ছিল তা ছিল খুবই কম। পুলিশ বিভাগ, সিভিল সার্ভিস, এবং স্বতন্ত্র এলাকার প্রশাসনের উপর পরিষদের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সুতরাং বলা যায়, ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে যে প্রাদেশিক আইন পরিষদগুলোতে যে তথাকথিত স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয় তা ছিল এক জরাজীর্ণ স্বায়ত্তশাসন। এতে গভর্নরের হাতে বেশি ক্ষমতা দেয়ায় তা তামাশায় পরিণত হয়। আইন পরিষদের ক্ষমতা সম্পর্কে Prof. Palande বলেছেন, A House which was comprised mostly of big landlordls millionaires, merchants, princes and impecunious fragments of a dilapidated, aritoracy become a organized stronghold of conservation and reaction, তবে এ কথা বলা যায় যে, ১৯৩৫ সালে যে প্রাদেশিক আইন পরিষদ তার অনেক ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও ভারতের শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, শাসনতান্ত্রিক সমস্ত সমস্যার সমাধানের জন্য ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন ব্রিটিশ সরকার পাস করেন। এ আইন প্রাদেশিক বিষয়গুলো সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্রিটিশ সরকার প্রাদেশিক দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা গঠন করেন এবং ক্ষমতাও অর্পণ করেন। তবে অনেকের মতে, প্রাদেশিক আইন পরিষদকে ক্ষমতা দেয়া হয় তা ছিল গভর্নরের আজ্ঞাধীন মাত্র। কারণ, তাদের মত হল যে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি সম্পর্কে গভর্নর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন, তিনি সভার উপর স্বমত চাপিয়ে দিতে পারতেন। তবে সার্বিক দিক বিচারে বলা যায়, সীমিত ক্ষমতা দেয়া হলেও তৎকালীন সময়ের জন্য এটার দরকার ছিল।