অথবা, ইয়াহিয়া খান প্রণীত আইনগত কাঠামো আদেশ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর। ভূমিকা: ইয়াহিয়া খান ১৯৭০ সালের ৩০ মার্চ নির্বাচনের ভিত্তিতে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে
পাকিস্তানের সংবিধান রচনার জন্য আইনগত কাঠামো আদেশ জারি করেন। আদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত জাতীয় ও প্রাদেশিক আইন পরিষদ সম্পর্কে বিধান দেওয়া হয় এবং পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ সংবিধান রচনার মূলনীতি উল্লেখ করা হয়।
আইনগত কাঠামো আদেশ:
নিচে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রেক্ষিতে আইনগত কাঠামো আদেশ পর্যালোচনা করা হলো:
১. নির্বাচন সংক্রান্ত বিধান: ১৯৭০ সালের আইনগত কাঠামো আদেশে ঘোষণা করা হয় ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ভিত্তি হবে সর্বজনীন ভোটাধিকার। এক ব্যক্তি এক ভোট নীতি গৃহীত হবে এবং জাতীয় পরিষদে প্রত্যেক প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।
২. জতীয় পরিষদের পঠন সংক্রান্ত বিধান: ১৯৭০ সালের আইনগত কাঠামো আদেশে ঘোষণা করা হয় যে জাতীয় পরিষদের আসন সংখ্যা হবে ৩১৩টি। এর মধ্যে ৩০০টি হবে সাধারণ আসন এবং ১৩টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
৩. সংবিধান রচনার মূলনীতি: ১৯৭০ সালের আইনগত কাঠামো আদেশে পাকিস্তানের সংবিধান রচনার মূলনীতি ঘোষণা করা হয়। এখানে উল্লেখ করা হয় পাকিস্তান হবে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র এবং এখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।
৪. সংবিধান প্রণয়নের সময়সীমা: আইনগত কাঠামো আদেশের ২৪নং অনুচ্ছেদে ঘোষণা করা হয় সংবিধান প্রণয়নের জন্য জাতীয় পরিষদকে ১২০ দিন সময় দেওয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে সংবিধান প্রণয়নে ব্যর্থ হলে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হবে।
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, ১৯৭০ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠান ও নতুন একটি সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যেই ১৯৭০ সালে আইনগত কাঠামো আদেশ জারি করা হয়েছিল। এ আদেশের ফলে ১৯৭০ সালের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়।