অথবা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাথে ইতিহাসের সাদৃশ্য সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
অথবা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসের মধ্যে পাঁচটি সম্পর্ক সংক্ষেপে দেখাও।
অথবা, ইতিহাসের সাথে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সম্পর্ক আলোচনা কর।
অথবা, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সাথে ইতিহাসের সম্পর্ক আলোচনা কর।
উত্তরঃ ভূমিকা: রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আবহমান বিশ্বের অতীত ঘটনাবলির বিস্তারিত ব্যাখ্যাই ইতিহাস। আর রাষ্ট্রীয় ঘটনাবলির রাজনৈতিক আলোচনাই হলো রাষ্ট্রবিজ্ঞান।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসের সম্পর্ক: নিম্নে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসের মধ্যকার সম্পর্ক আলোচনা করা হলো:
১. উৎপতিগত সম্পর্ক: রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাস উভয়ের উৎস এক। উভয়ই সমাজবিজ্ঞানের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ শাখা।
২. বিষয়বস্তুগত সম্পর্ক: ইতিহাস বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করে। আর রাষ্ট্রবিজ্ঞান এসব ঘটনাবলির যথার্থ মূল্যায়ন করে।
৩. পরস্পর পরিপুরক: রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাস পরস্পর পরিপূরক। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা ছাড়া ইতিহাস অচল আবার ইতিহাসের আলোচনা ব্যতীত রাষ্ট্রবিজ্ঞান অচল।
৪. পরিচয়গত সম্পর্ক: অধ্যাপক Em white-এর ভাষায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্রের অতীত, বর্তমান ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করে তেমনি ইতিহাস অতীত ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা করে।
৫. একই চেতনার অধিকারী: ইতিহাস মানুষকে অতীত ঘটনাবলি থেকে শিক্ষা নিতে সাহায্য করে অনুরূপভাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞান অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের জয় পরাজয় নিয়ে আলোচনা করে।
উপসংহার: উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাসের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। একটি ছাড়া আরেকটি চলতে পারবে না।