১৯৩৫ সালের আইনে ক্ষমতা বণ্টনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

অথবা, ১৯৩৫ সালের আইনে ক্ষমতা বণ্টন সম্পর্কে লিখ।

উত্তর: ভূমিকা: ১৯৩৫ সালের আইন ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ শাসনতান্ত্রিক আইন। এ আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রে দ্বৈত শাসনের প্রবর্তন করা হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার প্রবর্তন, প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন, ক্ষমতা বণ্টন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।

ক্ষমতা বণ্টন: ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে দেশের শাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা-

১. কেন্দ্রীয় তালিকা: কেন্দ্রীয় তালিকার অন্তর্ভুক্ত ছিল প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা, মুদ্রা, ব্যাংক, বীমা ডাক, তার ইত্যাদি সহ মোট ৫১টি বিষয়।

২. প্রাদেশিক তালিকা : প্রাদেশিক তালিকার অন্তর্ভুক্ত ছিল আইনশৃঙ্খলা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জনহিতকর কার্য, কৃষি, ভূমি, রাজস্ব, কারাগার, ব্যবসায় বাণিজ্য, শিল্প এবং স্থানীয় স্বায়ত্তশাসন ইত্যাদি।

৩. যুগ্ম তালিকা: যুগ্ম তালিকার বিষয়সমূহের উপর প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ আইন প্রণয়ন করতে পারত। কিন্তু অবশিষ্ট বা তালিকা বহির্ভূত ক্ষমতা সম্পর্কে বলা হয় যে, গভর্নর জেনারেল ইচ্ছামত কোনো বিষয়কে কেন্দ্র বা প্রদেশের হাতে অর্পণ করতে পারবেন। এ শর্তে আরও বলা হয় যে, কোনো প্রাদেশিক আইন কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধী হলে পূর্বোক্ত আইন বাতিল হয়ে যাবে।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ক্ষমতা বণ্টন। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষমতাগুলো কেন্দ্র সরকারের নিকট ন্যস্ত থাকায় গভর্নর জেনারেল ইচ্ছামত তার ক্ষমতা প্রয়োগ করত, ফলে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনসহ অন্যান্য অধিকার অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।