আইনের বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?

অথবা, আইনের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর।

অথবা, আইনের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ভূমিকা: রাষ্ট্রবিজ্ঞানে আইনের আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইন মানবসমাজের দর্পণস্বরূপ। সমাজ ও রাষ্ট্রের সুষ্ঠু বিকাশ ও কার্যকলাপ কার্যকর করার জন্য আইনের প্রয়োজন অপরিসীম। আইন ব্যতীত সভ্য সমাজের কথা কল্পনাও করা যায় না। আইন হলো মানুষ, সমাজ তথা রাষ্ট্রের বিকাশের অন্যতম নিয়মনীতি।

আইনের বৈশিষ্ট্য বা প্রকৃতি: নিম্নে আইনের বৈশিষ্ট্য বা প্রকৃতিসমূহ আলোচনা করা হলো:

১. বিৗফান্ড নিয়মাবলি: আইন হলো বিধিবদ্ধ নিয়মের সমষ্টি। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, আইন হচ্ছে কতিপয় বিধিবদ্ধ আচার আচরণ। কোন বিধানকে আইন হতে হলে তাকে অবশ্যই প্রথা, রীতিনীতি বা নিয়মকানুনের সমষ্টি হতে হবে।

২. সুস্পষ্টতা: আইনের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সুস্পষ্টতা। আইনের ধারা, উপধারা সুস্পষ্টভাবে লিখিত হতে হবে। অস্পাই কোন ধারণা আইন হিসেবে গণ্য হবে না।

৩. সার্বজনীনতা: আইনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো সার্বজনীনতা। আইন সকলের দৃষ্টিতে সমান। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানেও উপর সমানভাবে প্রযোজ্য হবে।

৪. সার্বভৌম: আইন হলো সার্বভৌম ক্ষমতা। এটি নিশের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। আইনের পিয়নে সার্বভৌম কর্তৃপক্ষের অস্তিত্ব অপরিহার্য।

৫. আচরণ নিয়ন্ত্রণ: মানুষের চিন্তাভাবনা ও ধ্যানধারণার সাথে আইনের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। আইন মানুষের বাহ্যিক আচার-আচরণ ও কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।।

৬. অনুমোদন: আইনের পিছনে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ও স্বীকৃতি রয়েছে। স্বীকৃতি ও অনুমোদন ছাড়া কোন রীতিনীতি আইনে রূপলাভ করে না।

৭. পরিবর্তনশীলতা: আইন সর্বদা পরিবর্তনশীল। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন ও সংশোধন করা হয়ে থাকে এবং নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়ে থাকে।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, উল্লিখিত দিকসমূহ আইনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এগুলোর মধ্যে আইনের মূল পরিচয় সীমাবদ্ধ। আইন ছাড়া সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপন অসম্ভব।