সাম্য বলতে কী বুঝ?

অথবা, সাম্যের সংজ্ঞা দাও।

অথবা, সাম্য কী।

উত্তরঃ ভূমিকা: সাধারণভাবে সাম্য বলতে বুঝায় সকল মানুষই সমান। তাই প্রত্যেকে সমান সুযোগ সুবিধা সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করতে চায় কিন্তু রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সাম্য শব্দটি বিশেষ অর্থে ব্যবহার করা হয়। বাস্তবে মানুষে মানুষে শারীরিক ও মানসিক গঠন ও গুণগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পার্থক্য বর্তমান। তাই সাম্য বলতে মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত সুযোগ সুবিধার সমতাকে বুঝায়

প্লামাণ্য সংজ্ঞা: নিম্নে সাম্য সম্পর্কে বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর অভিমত দেয়া হলো:

অধ্যাপক লাস্কি (Prof. Laski) এর মতে, “সাম্য হলো সকলের যথোপযুক্ত সুযোগ সুবিধা।”

অধ্যাপক বার্তায় (Prof. Barker) এর মতে, “সাম্য বলতে ব্যক্তিত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে সকলের সুযোগ সুবিধার

সমতাকে বলা হয়। কিন্তু এর ফলে প্রত্যেকের ব্যক্তিত্ব সমানভাবে বিকশিত হবে।”

উপরের সংজ্ঞাগুলো বিচার করলে দেখা যায় যে, সাম্যের তিনটি বিশেষ দিক রয়েছে। যথা:

১. বিশেষ সুযোগ সুবিধার অনুপস্থিতি,

২. যথার্থ ও যথেষ্ট সুযোগ সুবিধাদির সৃষ্টি এবং

৩. বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ ও সামগ্রী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সমভাবে বণ্টন।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, সাম্য বলতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সুবিধাকে বুঝায়।