অথবা, নীতি অনুশীলনের ক্ষেত্রে সমাজকর্মীর যোগ্যতার বিষয়গুলো আলোকপাত কর।
অথবা, নীতি অনুশীলনে সমাজকর্মীর কি ধরনের যোগ্যতা থাকা উচিত বলে তুমি মনে কর।
অথবা, নীতি অনুশীলনে সমাজকর্মীর কি কি যোগ্যতা থাকা উচিত?
উত্তর: ভূমিকাঃ নীতি অনুশীলন সমাজকর্মীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সমাজকর্মী সমাজ সেবা কার্যক্রমের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নীতি অনুশীলনে সমাজকর্মীকে অতন্ত যোগ্যতার পরিচয় দিতে হয়। নীতি অনুশীলনে সমাজকর্মীকে কয়েকটি বিষয়ে যোগ্যতার পরিচয় দিতে হয়।
নীতি অনুশীলনে সমাজকর্মীর যোগ্যতার বিষয়সমূহঃ নীতি অনুশীলনে সমাকর্মীকে যেসব বিষয়ের যোগ্য হতে হয়।
নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলোঃ
১. নীতি বিশ্লেষণে যোগ্যতাঃ প্রণীত নীতির বিশ্লেষণে সমাজকর্মী ভূমিকা পালন করে থাকেন। প্রণীত নীতির বিশ্লেষণের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে সমাজকর্মীকে দক্ষতা অর্জন করতে হয়। সমাজকর্মী যোগ্যতার মাধ্যমেই নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে থাকেন। সমাজকর্মী যখন নীতি প্রণয়ন থেকে শুরু করে মূল্যায়ন পর্যন্ত যোগ্যতার সঠিক অর্জন করেন তখন তার পক্ষে নীতির অনুশীলন করা সম্ভব হয়। তাই নীতির বিশ্লেষণে সমাজকর্মীর দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। সমাজকর্মী দক্ষতার মাধ্যমেই নীতির অনুশীলন করে থাকেন।
২. রাজনৈতিক যোগ্যতাঃ নীতি অনুশীলনের জন্য সমাজকর্মীকে রাজনৈতিক যোগ্যতা অর্জনে করতে হবে। নীতির অনুশীলনের জন্য সমাজকর্মীর জন্য রাজনৈতিক সম্পর্কিত জ্ঞান অপরিহার্য। সমাজকর্মী যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে রাজনৈতিক কৌশলের উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হয় এবং তা প্রয়োগ সামর্থ্য লাভ করে। রাজনৈতিক যোগ্যতা অর্জনের দ্বারা সমাজকর্মী সকলের অংশগ্রহণ। রাজনৈতিক দক্ষতা ও সামর্থ্য, নীতির সম্ভাব্যতা ইত্যাদি বিষয়কে কাজে লাগিয়ে নীতি অনুশীলন করে থাকেন।
৩. মিথস্ক্রিয়া সংক্রান্ত যোগ্যতা: সমাজকর্মীকে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সাথে সম্পর্কিত সকলের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। এই ধরনের দক্ষতার মাধ্যমে সমাজকর্মী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ, ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন ও কমিটি গঠনের যোগ্যতা অর্জন করেন। যার সাথে ফলস্বরূপ সাংগঠনিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় হয়।
৪. মূল্যবোধ যাচাইয়ের যোগ্যতা: সমাজকর্মীদেরকে প্রচলিত মূল্যবোধ যাচাইয়ের দক্ষতা অর্জন করতে হয়। কারণ প্রচলিত মূল্যবোধের আলোকে নীতি প্রণীত হয়ে থাকে। নীতি প্রণয়ন ও নীতির সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ বিশ্লেষণে প্রচলিত মূল্যবোধসমূহকে গুরুত্ব দিতে হয়। তাই নীতি অনুশীলনে সমাজকর্মীকে যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমেই সমাজকর্মী প্রচলিত মূল্যবোধের আলোকে নীতি অনুশীলন করে থাকে।
৫. যৌক্তিক বিশ্লেষণের যোগ্যতা: সমাজকর্মীকে নীতি অর্জন করতে হয়। যেমন- নীতি নির্বাচন, তথ্য সংগ্রহ করা, খসড়া নীতি প্রণয়ন, গবেষণা ইত্যাদি। এই সকল যৌক্তিক বিশ্লেষণের যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে সমাজকর্মী নীতি অনুশীলন করে থাকেন।
৬. মূল্যায়ন যোগ্যতাঃ নীতি অনুশীলনের জন্য সমাজকর্মীকে নীতি মূল্যায়নের দক্ষতা অর্জন করতে হয়। মূল্যায়নের মাধ্যমে সঠিক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক নীতি “নীতি প্রণয়নের বৃহত্তর ক্ষেত্রের সুনির্দিষ্ট দিকমাত্র। একটি রাষ্ট্রের অনেক ধরনের নীতি থাকতে পারে। সামাজিক নীতির মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণকর বিষয়সমূহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।