গির্জা বনাম রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব কী?

অথবা, সেন্ট অগাস্টিনের স্বর্গরাজ্যের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা কর।

অথবা, সেন্ট অগাস্টিনের স্বর্গরাজ্য কী? সংক্ষেপে লিখ।

অথবা, সেন্ট অগাস্টিনের স্বর্গরাজ্য সম্পর্কে যা জান লিখ।

অথবা, সেন্ট অগাস্টিনের বিধাতার রাষ্ট্র বা স্বর্গরাজ্য সম্পর্কে ধারণা দাও।

উত্তরঃ ভূমিকা: মধ্যযুগের রাজনীতিতে গির্জা ও রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ছিল একটা নিয়মিত ঘটনা। দুই তরবারি তত্ত্বের ফলশ্রুতিই হলো গির্জা ও রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব। মূলত ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল এ নীতির মূল কথা।

গির্জা বনাম রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব: ধর্ম আর রাজনীতি এক নয়। এদের জগৎ দু’টি পৃথক। মূলত গির্জা ও রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ছিল দুই তরবারি তত্ত্বের মূল কথা। এক তরবারি কর্তৃক মানবাচরণ নিয়ন্ত্রিত হতে থাকায় নানাবিধ সমস্যা তথা সংকট দেখা দেয়। ফলে সৃষ্টি হয় দুই তরবারি তত্ত্ব। দুই তরবারি তত্ত্বে স্বকীয় ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার দ্বন্দ্বে অবতীর্ণ হয়ে রাজার তরবারি জয়ী হয়। অতঃপর রাষ্ট্র শাসনের ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিশীলিত হতে থাকে। মোটকথা গির্জা ও রাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ছিল একগুঁয়েমি ও পরস্পর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার এক অযৌক্তিক বিরোধ। এ দ্বন্দ্বে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ বিরোধের মূল কারণ ছিল রাজা বা চার্চ কেউই তাদের অবস্থাতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। পোপ কেবলমাত্র পরজগৎ তথা আধ্যাত্মিক জগৎ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। অন্যদিকে, তেমনি রাজাও পার্থিব জগৎ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না।

উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, রাজার দাবি পোপ তার অধীনে থাকবে অনুরূপ পোপের দাবি রাজা আমার অধীনে থাকবে। কেননা সেও অন্যান্য মানুষের মত একজন মানুষ ছাড়া কিছুই নয়।