সেন্ট অগাস্টিনের বিধাতার রাষ্ট্র ও পার্থিব রাষ্ট্রের সমালোচনা কর।

অথবা, সেন্ট অগাস্টিনের বিধাতার রাষ্ট্র ও পার্থিব রাষ্ট্র বলতে কী বুঝ?

অথবা, তুমি কিভাবে সেন্ট অগাস্টিনের বিধাতার রাষ্ট্র ও পার্থিব রাষ্ট্রের সমলালোচনা করবে? সংক্ষেপে লিখ।

অথবা, সেন্ট অগাস্টিনের দুই রাষ্ট্রতত্ত্বের সমালোচনা কর।

উত্তর: ভূমিকা: সেন্ট অগাস্টিনের মতে, পার্থিব রাষ্ট্র গঠিত হয় দেহ সর্বস্ব ব্যক্তিদের সমন্বয়ে। আর আত্মার প্রাধান্য সম্বলিত মানুষদের নিয়ে গঠিত হয়েছে স্বর্গরাষ্ট্র বা বিধাতার রাষ্ট্র। বিধাতার রাষ্ট্র ও পার্থিব রাষ্ট্র সমালোচনার উর্ধ্বে ছিল না। নিম্নে অগাস্টিনের বিধাতার রাষ্ট্র ও পার্থিব রাষ্ট্রের সমালোচনা বর্ণনা করা হলো:

প্রথমত, সেন্ট অগাস্টিনের বিধাতার রাষ্ট্র ও পার্থিব রাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্য করা অবান্তর।

দ্বিতীয়ত, তিনি পার্থিব রাষ্ট্রকে স্কুল বলে সংকীর্ণ মনের পরিচয় দিয়েছেন।

তৃতীয়ত, পার্থিব রাষ্ট্রে পাপ বিরাজ করে বলে অগাস্টিন যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে তিনি মানবজাতিকে কলঙ্কিত করেছেন।

চতুর্থত, বিধাতার রাষ্ট্রের গুণগান করে তিনি ধর্মীয় গোঁড়ামিকে আরও মজবুত করেছেন।

পঞ্চমত, বিধাতার রাষ্ট্র সম্পর্কে অগাস্টিন যে কথা বলেছেন তা দুই রাষ্ট্রের সংঘাতকে স্পষ্ট করে।

ষষ্ঠত, তিনি পার্থিব রাষ্ট্রের পাপের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা রাষ্ট্রতত্ত্বকে কলঙ্কিত করে।

সপ্তমত, অগাস্টিনের বিধাতার রাষ্ট্র খ্রিস্টধর্মের আলোকে প্রবর্তিত বলে সংকীর্ণতা দোষে দুষ্ট।।

উপসংহার: উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, পার্থিব রাষ্ট্র ও বিধাতার রাষ্ট্র সম্পূর্ণ সম্পর্কহীন নয়। কারণ দু’টি রাষ্ট্রের অবস্থানই মাটির পৃথিবীতে, মহাকাশে নয়। অগাস্টিন বলেছেন, অতি মানবিক ব্যক্তিদের নিয়ে পৃথিবীতেই স্বর্গরাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব। সেক্ষেত্রে স্বর্গরাষ্ট্র ও পার্থিব রাষ্ট্রের অবস্থান হবে পাশাপাশি। পাশাপাশি অবস্থানের ফলে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কও গড়ে উঠবে। সাধারণভাবেই এ দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক না থাকার কোন যুক্তিসংগত কারণ নেই।