ম্যাকিয়াভেলির ধর্ম ও রাজনীতি সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

অথবা, ধর্ম ও রাজনীতি সম্পর্কে ম্যাকিয়াভেলির ধারণা উল্লেখ কর।

অথবা, ধর্ম ও রাজনীতি সম্পর্কে ম্যাকিয়াভেলির দৃষ্টিভঙ্গি সংক্ষেপে লিখ।

অথবা, ধর্ম ও রাজনীতি সম্পর্কে ম্যাকিয়াভেলির দর্শন তুলে ধর।

অথবা, ম্যাকিয়াভেলি ধর্ম ও রাজনীতিকে কিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

অথবা, ম্যাকিয়াভেলির ধর্ম ও রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে কী জান? লিখ।

উত্তরঃ ভূমিকা: ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তা তাঁর সামগ্রিক জীবনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে সমর্থ হয়েছে। তিনি ধর্ম ও রাজনীতি সম্পর্কে যে ধারণা দিয়েছেন সেটা তাঁর সামগ্রিক দর্শনে প্রভাব বিস্তার করতে সমর্থ হয়েছে। তিনি ধর্ম ও রাজনীতি সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন সেটা সকলের কাছে চিরস্মরণীয়।

ধর্ম ও রাজনীতি সম্পর্কে ম্যাকিয়াভেলির অভিমত: ম্যাকিয়াভেলির রাষ্ট্রচিন্তা তাঁর ‘The Prince’ The Discourse’ এর মাধ্যমে চিত্রিত হয়েছে। ‘The Prince’ গ্রন্থে ধর্ম ও রাজনীতি সম্পর্কে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনিই প্রথম রাষ্ট্রচিন্তাবিদ যিনি ধর্ম ও নৈতিকতাকে রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করেছেন।

ম্যাকিয়াভেলি ছিলেন একজন প্রথম শ্রেণির জাতীয়বাদী রাষ্ট্রচিন্তাবিদ। তাঁর কাছে নিজ জাতি ইতালির ঐক্য ও সংহতিই ছিল প্রধান অগ্রাধিকার বিষয়। তিনি দেখেছিলেন যে, ইতালি নানা সমস্যায় জর্জরিত এবং অনৈক্যের অভিশাপে জরাগ্রস্ত।

এছাড়া দ্বিতীয় আর একটি কারণ ছিল ষোড়শ শতাব্দীর প্রারম্ভে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে ইতালিতে বুর্জোয়া শক্তি আপন প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট হয়ে পড়েছিল। সর্বোপরি, ম্যাকিয়াভেলি রাজনীতিকে কেবল শক্তির রাজনীতির দৃষ্টিকোণ হতে বিচার করতে চেয়েছিলেন। আর এ শক্তির রাজনীতিতে ধর্ম, নীতি ও আদর্শের কোন স্থান নেই।

উপসংহার: ম্যাকিয়াভেলির মূল লক্ষ্য ছিল রাজনীতি ও ধর্মকে সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলা। ম্যাকিয়াভেলির মতে, রাষ্ট্রই হলো সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। তার উপর আর কোন ক্ষমতা নেই। এজন্যই চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে রাষ্ট্র তার অস্তিত্ব, নিরাপত্তা ও সম্প্রসারণের জন্য যা কিছু অনুকূল তাই করতে পারে।