অথবা, সার্বজনীন ভোটাধিকার বলতে কী বুঝ?
উত্তর। ভূমিকা: গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রাণ হলো নির্বাচন। আর নির্বাচন ব্যবস্থার অন্যতম পদ্ধতি হলো সার্বজনীন ভোটাধিকার পদ্ধতি। ভোট দান নাগরিকের মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সার্বজনীন ভোটাধিকার একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপরিচালনায় তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।
সার্বজনীন ভোটাধিকার: যখন রাষ্ট্রে নারী, পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ধনী, দরিদ্র নির্বিশেষে সকল নাগরিক ভোটদানের সুযোগ লাভ করে তখন তাকে সার্বজনীন ভোটাধিকার বলে। বাংলাদেশে আঠারো বছর বয়সের নারী-পুরুষ এ অধিকার ভোগ করে। বিভিন্নভাবে সার্বজনীন ভোটাধিকারের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। যথা।
Dictionary of Social Science এ বলা হয়েছে, “সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের অর্থ হলো শর্ত ও যোগ্যতা সাপেক্ষে ভোটাধিকার।” সিজউইক এর ভাষায়, “ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সুস্থ ও সবল প্রতিটি নাগরিকের ভোটযোগ্য অধিকারই হলো সার্বজনীন ভোটাধিকার।”
Prof. Lasky এর ভাষায়, “Universal adult sufarge cimplics all are equal to take part in politics in the eye of law because everybody is equally addected by the laws and politics of the state.”
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, সার্বজনীন ভোটাধিকার বলতে সকলের ভোটাধিকার বুঝায় না, বরং সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটাধিকার বুঝায়। তবে উন্মাদ, দেউলিয়া, রাষ্ট্রদ্রোহী ও অপ্রাপ্ত শিশুদের ভোটাধিকার দেয়া হয় না। পৃথিবীর সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচনে ভোটাধিকারের ভিত্তি হিসেবে সার্বজনীন ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়েছে।